কোতোয়ালি থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের আগে শহরের উত্তর পুলিশ লাইন্স এলাকার বাসা থেকে সুইটি আক্তার (২২) নামে এই পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন তারা।
সুইটি নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সু্ইটির স্বামী পুলিশ কনস্টেবল হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুইটির ভাই ময়না মিয়ার অভিযোগ, “সুইটির সঙ্গে হাফিজুরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে হাফিজুর বিয়ে করতে চাননি। কিন্তু চাপাচাপির পর তিনি বিয়েতে রাজি হন। সুইটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর হাফিজুর গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় হাফিজুর তাকে হত্যা করেছেন।”
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর থানায় যাবেন বলে তিনি জানান।