আহত নাসিরের অভিযোগ, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে; বাদীপক্ষের লোকজনকে হুমকি দিয়ে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, বিষয়টি দুটি পক্ষের রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের ঘটনা বলে নিশ্চিত প্রমাণ হাতে নিয়েই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিরকে কূপিয়ে এবং পায়ের রগ কেটে গুরুতর আহত করে একদল যুবক। তিনি এখন চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ৩১ জানুয়ারি পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে।
নাসির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার স্ত্রী মামলা করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি; তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
“তারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। গ্রেপ্তার ও বিচার না হলে এরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে।”
নাসির বলেন, তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি কোতোয়ালি থানা ও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আসামিদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ করেছেন।
“তারা আমাকে আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন; কিন্তু বাস্তবতা হলো আসামিরা প্রকাশ্যে রাঙামাটি শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
নাসিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ কোনো নেতা যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় নাসিরের স্ত্রী সালেহা আক্তারের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জিয়াউক হক বলেন, “আমরা মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছি। যেহেতু এটি দুইপক্ষের রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ে ঘটনা, তাই আমরা নিশ্চিত প্রমাণ হাতে নিয়েই আসামিদের গ্রেপ্তার করব। আশা করছি শীঘ্রই কিছু করতে পারব।”
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, “নাসির আমাকে ফোন করেছে, সে কিছু বিষয় জানিয়েছে। আমরাও সবগুলো বিষয় খতিয়ে দেখছি এবং আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। একটু সময় লাগছে, কিন্তু আমরা কাজ করছি।”
নাসিরের স্ত্রী সালেহা আক্তারের করা মামলায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব খান, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর দে, কলেজ ছাত্রলীগের আজমীর হোসেন, মীর শাকিল ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ।