ওমানে দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের ৩ জন নিহত

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের তিনজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বজনরা।  

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 06:37 PM
Updated : 3 Feb 2020, 06:37 PM

বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওমানের আদম এলাকায় এ দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হলেও মৌলভীবাজারের তিনজন বলে নিহতদের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জানান।

নিহত মৌলভীবাজারের তিনজন হলেন কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের মুসলিম আলীর ছেলে লিয়াকত আলী (৩৫), শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জবপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে সবুর আলী (৩৩) ও কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া বাজারের টিলালাইনের আব্দুল বাছিতের ছেলে আলম আহমদ (৩৫)।

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ বলেন, তিনি শুনেছেন নিহত তিনজনের মধ্যে দুই জনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ও হাজীপুর ইউনিয়নে এবং অপরজনের বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে।

তিনি ‘অফিসিয়ালি’ কোনো তথ্য তিনি পাননি; তবে এ ব্যাপারে তাদের পরিবারের কোনো সহায়তার প্রয়োজন হলে করবেন বলে জানান।

ওমানে কর্মরত লিয়াকত আলীর শ্যালক জসিম উদ্দীন ফোনে  সাংবাদিকদের বলেন, এরা বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবং ওমানের সময়  বিকাল ৪টায় কাজ শেষে বাইসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন। 

“আদম এলাকায় একটি প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ দুর্ঘটনায় পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের নিহত আলমের ছোট ভাই ওয়াসিম বলেন, তার বড় ভাই আলম আহমদ ধার-দেনা করে ছয় মাস আগে ওমান যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আহমদ বলেন, আব্দুল বাছিতের ছেলে আলম আহমদ ৫/৬ মাস আগে ওমানে যান। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার মৃত্যুতে এই পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। 

কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নিহত লিয়াকত আলীর চাচা মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, লিয়াকত প্রায় ৪ বছর আগে ওমান যান। তার স্ত্রী এবং ৯ বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে লিয়াকত সবার ছোট। তিনি সেখানে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতেন।

কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের নিহত সবুর আলীর মামাত ভাই কামাল খান বলেন, সবুর আলী ৮/১০ বছর ধরে ওমান ছিলেন। দুই বছর আগে দেশে আসেন একবার। তার বড়িতে মা, স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে।

হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু তার ইউনিয়নের লিয়াকত আলীসহ নিহত তিনজনের লাশ তাড়াতাড়ি দেশে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিকা দে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা বিষয়টি জেনেছেন। তাদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি তাদের সহায়তারও আশ্বাস দেন।