পাহাড়ে জোর করে উচ্ছেদ করা হবে না: ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হক বলেছেন, জোর করে কাউকে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না।

বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 04:18 PM
Updated : 3 Feb 2020, 04:18 PM

“সাংবিধানিকভাবে যে বিধান আছে, সেভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে।

সোমবার সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদে কমিশনের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ শিগগির শুরু হবে।

কারো ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ ভূমি কমিশন করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কমিশনের কাছে এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি সব জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থ কমিশন সমানভাবে দেখবে।”

১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পাহাড়ে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা ‘শান্তি চুক্তি’ নামে পরিচতি। এ চুক্তির আলোকে ২০০১ সালে গঠন করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন। এরপর ২০১৬ সালে এ আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন করা হয়।

এদিকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে জেলা পরিষদের মূল ফটকে বাঙালিদের সংগঠন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা কমিশনের চেয়ারম্যানের গাড়ি কিছু সময় অবরোধ করে রাখেন। রাস্তার দুপাশে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ দেখান তারা। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

পরে কমিশনের চেয়ারম্যানের আশ্বাস পেয়ে তারা সরে দাঁড়ায়।

ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে মেঘলা এলাকায় কমিশনের চেয়ারম্যানের গাড়ি অবরোধ করে রাখে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা।

পরে ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যানকে নাগরিক পরিষদে নেতারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক পরিষদের সদস্য কাজী মজিবর রহমান এবং আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম।

অন্য দিকে, বান্দরবান জেলা পরিষদে কমিশনের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনের পর র্ভূমি কমিশনের নির্ধারিত বৈঠক সবাই না আসায় অনুষ্ঠিত হয়নি।

এ সময় বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, বোমাং সার্কেলপ্রধান রাজার উচ প্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার এবং রাঙ্গামাটির চাকমা রাজার প্রতিনিধি জুয়ামলিয়ান আমলাই ছিলেন ছিলেন।

তবে কমিশনের অন্য সদস্য রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মং সার্কেল প্রধান উপস্থিত হননি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।