এসএসসি: দুইশ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিল পুরনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে

এসএসসির প্রথমদিন লালমনিরহাটের একটি কেন্দ্রের প্রায় দুইশ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে দুবছর আগের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে।

লালমনিরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 04:00 PM
Updated : 4 Feb 2020, 04:23 AM

সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম (এসকে) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের  ১৯৩ জন পরীক্ষার্থী ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নে সোমবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দেয়।

এ ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের সচিব, পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সব সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ পরিদর্শকগণসহ ২০ জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার রায় জানান।

সোমবার সকাল ১০টায় সারাদেশে এসএসি ও আলিম পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথমদিন ছিল বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা।

কেন্দ্র সচিব ও বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম (এসকে) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম (এসকে) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পাঁচটি স্কুলের ২০২০ সালের সিলেবাসের ১৯৩ জন শিক্ষার্থী বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা দিতে বসে।

“নির্দিষ্ট সময়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয় শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষা শেষের দিকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম প্রশ্নপত্রে ২০১৮ সাল লেখা দেখতে পেয়ে কেন্দ্র সচিবকে বিষয়টি অবহিত করেন। ততক্ষণে পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্র জমা দিতে শুরু করেছে।”

কেন্দ্র সচিব শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রশ্নপত্রের প্যাকেট পরীক্ষা ও গণনায় নিয়োজিত ব্যত্তিদের ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে। সৃজনশীল ৭০ নম্বরের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের সিলেবাসে প্রণীত বাংলা প্রশ্নপত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

“তবে এ প্রশ্নে ছাত্রদের পরীক্ষা দিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি।”

কোনো কেন্দ্রে ২০২০ সালের পাশাপাশি ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নেও কেউ কেউ পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই দুই ধরনের প্রশ্ন কেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হয়।

ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র আনার পর পুরনো (২০১৮) ও নতুন (২০২০) সেটের প্রশ্নের প্যাকেট গুণে নেন কেন্দ্রে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টরা।   

জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, “পরীক্ষা শেষ হলে বিষয়টি আমরা জানতে পারি।”

লালমনিরহাট-বি কেন্দ্র নম্বর ৭০২ এ নয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, কুর্শামারি উচ্চ বিদ্যালয়, কাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মোস্তফী উচ্চ বিদ্যালয়সহ পাঁচটি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার রায় বলেন, “এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে রাতেই উত্তরপত্র পাঠানোর কাজ চলছে।”

পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন্দ্র সচিবসহ ২০ জনকে এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

পরীক্ষা চলাকালে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কেন্দ্র সচিবসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।