রোববার রাতে ৫১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন আহত এক ছাত্রলীগ নেতার ভাই।
একই থানায় আরেকটি মামলা করেন আরেক ছাত্রলীগ নেতার ভাই।
একইদিন বিকালে শহরের খেদন সর্দারের মোড়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন শহরের খান সাহেবের মাঠ এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সুমন (২৮), আবু সাইদের ছেলে শরিফ (২২), দত্তবাড়ি মহল্লার আব্দুল গণির ছেলে রনি সেখ (২২), সালাম সেখের ছেলে আলহাজ সেখ (২৫) ও ময়াগোবিন্দ মহল্লার দিলজুর রহমানের ছেলে সুমন (২৫)।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, শনিবার বিকালে জেলা শহরের একডালা এলাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের একটি অংশ সভা করে। ওই সভার বিষয়টি ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানিক মাহমুদ জানতেন না। এ কারণে সভাস্থলে গিয়ে তিনি প্রতিবাদ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এতে মানিক মাহমুদসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার বিকালে শহরে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল হয়। এক পর্যায়ে শহরের খেদন সর্দারের মোড়ে প্রতিপক্ষ দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।
এতে জেলা ছাত্রলীগ নেতা শুভ আহম্মেদ ফালার আঘাতে গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা শুভ আহম্মেদকে মারপিটের ঘটনায় আহতের বড় ভাই জানপুর মহল্লার বকুল আহম্মেদ বাদী হয়ে ২ ফ্রেরুয়ারি রাতে ৫১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে আটক ৭ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরেক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আবু জাফর বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মানিক মাহমুদ আহত হওয়ার ঘটনায় তার চাচাত ভাই নুরনবী হাসান রতন বাদী হয়ে ২ ফ্রেরুয়ারি বিকালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
“এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”