সিরাজগঞ্জে আ. লীগের সংঘর্ষ: দুই মামলা, গ্রেপ্তার ৭

সিরাজগঞ্জ শহরে ছাত্রলীগের সভা ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এ দুই মামলায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 03:35 PM
Updated : 3 Feb 2020, 03:35 PM

রোববার রাতে ৫১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন আহত এক ছাত্রলীগ নেতার ভাই।

একই থানায় আরেকটি মামলা করেন আরেক ছাত্রলীগ নেতার ভাই।

একইদিন বিকালে শহরের খেদন সর্দারের মোড়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন শহরের খান সাহেবের মাঠ এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সুমন (২৮), আবু সাইদের ছেলে শরিফ (২২), দত্তবাড়ি মহল্লার আব্দুল গণির ছেলে রনি সেখ (২২), সালাম সেখের ছেলে আলহাজ সেখ (২৫) ও ময়াগোবিন্দ মহল্লার দিলজুর রহমানের ছেলে সুমন (২৫)।

মামলার কয়েকজন আসামি হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর সেলিম আহম্মেদ, উপ-প্রচার সম্পাদক নাসিমুর রহমান নাসিম, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সুলতান মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম লিমন, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, কালিয়া হরিপুর ইউপির সদস্য কান্দাপাড়ার মো. রেজা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ধানবান্দি মহল্লার আব্দুস সাত্তার, যুবলীগ নেতা দত্তবাড়ি মহল্লার মুছা সেখ ও মো. হোসেন।   

মামলার নথি থেকে জানা যায়, শনিবার বিকালে জেলা শহরের একডালা এলাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের একটি অংশ সভা করে। ওই সভার বিষয়টি ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানিক মাহমুদ জানতেন না। এ কারণে সভাস্থলে গিয়ে তিনি প্রতিবাদ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

এতে মানিক মাহমুদসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার বিকালে শহরে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল হয়। এক পর্যায়ে শহরের খেদন সর্দারের মোড়ে প্রতিপক্ষ দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।

এতে জেলা ছাত্রলীগ নেতা শুভ আহম্মেদ ফালার আঘাতে গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. হাসিবুল আলম বলেন, যারা আইনশৃংখলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাবে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধেই অ্যাকশন নেবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা শুভ আহম্মেদকে মারপিটের ঘটনায় আহতের বড় ভাই জানপুর মহল্লার বকুল আহম্মেদ বাদী হয়ে ২ ফ্রেরুয়ারি রাতে ৫১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনাস্থল থেকে আটক ৭ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। 

আরেক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আবু জাফর বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মানিক মাহমুদ আহত হওয়ার ঘটনায় তার চাচাত ভাই নুরনবী হাসান রতন বাদী হয়ে ২ ফ্রেরুয়ারি বিকালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

“এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”