সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন কবরখালি খালের চর থেকে ওই বাঘের মরদেহ উদ্ধার করে বনরক্ষীরা।
বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে বাঘের মাথা সংগ্রহ করে ঢাকার বন্যপ্রাণী পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
সোমবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফাঁড়ি সংলগ্ন কবরখালি খাল দিয়ে নিয়মিত টহলের সময় চরে একটি বাঘকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা।
“তারা বাঘটির মরদেহ উদ্ধার করেন। মৃত বাঘটির পেছনের দুই পাসহ অর্ধেকটা খাওয়া ছিল। মাথা দেখে ধারণৈা করা হচ্ছে-বাঘটি রোগাক্রান্ত ও রুগ্ন ছিল। তার বয়স আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ বছর।”
সাধারণ বাঘ ১৬ থেকে ২০ বছর বাঁচে। বয়সের কারণে বাঘটির মারা গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বনবিভাগ।
“খালে থাকা লবণ পানির কুমির মরা বাঘের পেছনের অংশ খেয়ে ফেলে থাকতে পারে। বাঘের পেছনের অংশ না থাকায় মৃত বাঘটি বাঘ না বাঘিনী তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে সেটির মাথা সংগ্রহ করে ঢাকার বন্যপ্রাণী পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এরআগে ২০১৯ সালের ২০ অগাস্ট সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ছাপড়াখালীর বন থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করেছিল বনবিভাগ।