জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান আজাদ হত্যার ‘পরিকল্পনাকারী’ কারাগারে

জয়পুরহাটের ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ হত্যা মামলার আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে জেলার একটি আদালত।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 12:13 PM
Updated : 3 Feb 2020, 12:13 PM

সোমবার জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ এম এ রব হাওলাদার এ আদেশ দেন।

হত্যাকাণ্ডের সাড়ে তিন বছর পর এই মামলার আসামি হাতেম আলী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।

হাতেম আলী ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জয়পুরহাট জেলা পরিষদ সদস্য।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ জুন রাত পৌনে ১০টার দিকে ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই কাসমির বাদী হয়ে সদর থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৬/৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালতের পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ইতিমধ্যে দুই আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। চার আসামি কারাগারে আছেন। হত্যা মামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হাতেম আলী পলাতক ছিলেন।

পিপি জানান, হাতেম আলী সোমবার সকালে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

হাতেম আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর নিহত চেয়ারম্যানের ছোট ভাই একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সরোয়ার স্বাধীন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

কান্নাজাড়িত কণ্ঠে সরোয়ার স্বাধীন বালেন, “নির্বাচনে পরাজিত হয়ে হাতেম আলী আমার ভাইয়ের হত্যার পরিকল্পনা করেন। সরাসরি হত্যকাণ্ডে জড়িতদের অর্থ দিয়ে আমার বড় ভাইকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেও তিনি চেয়ারম্যান হতে পারেননি। তার ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে জনসাধারণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেন।

“দীর্ঘদিন পর হলেও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন ঘাতক হাতেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হলেই কেবল আমার বড় ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে।”