রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক নূরউদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলা হয়।
আদেশে বলা হয়, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। এর কারণ উদঘাটন এবং উপযুক্ত সুপারিশের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হল।”
তদন্ত কমিটির সভাপতির দয়িত্বে রয়েছেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম এ সাত্তার এবং সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- শেখ রেহেনা হলের প্রভোস্ট মো. রোকনুজ্জামান, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোলায়মান হোসেন, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নেসারুল হক, আইন বিভাগের সভাপতি মানসুরা খানম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. হাসিবুর রহমান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মো. রাকিবুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক নূরউদ্দীন আহমেদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ সংঘর্ষে জড়ান বলে পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ জানায়।
এক পর্যায়ে ক্যাম্পাসের লিপুস ক্যান্টিনের সামনে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠিসোঠা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এতে অন্তত ১৯ শিক্ষার্থী আহত হয়। অপরদিকে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে একদল বেপরোয়া শিক্ষার্থী বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। পরে উত্তেজনা দেখা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান সিফাত, ফরহাদ হোসেন, প্রিতুল হোসেন, সাইফ আল কবির, বাদশা, তাইহান, শফিকুল ইসলাম, মান্না ও সেজান এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তিম, মেহেদি, রানা, মানিক, রিয়াদ, শান্ত, হাসান, রাফিদ, মোরসালিন ও রাফি।
এদের মধ্যে ফারহান সিফাতকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং চার শিক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।