শার্শা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, রোববার শার্শা উপজেলার রামচন্দ্রপুরে গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃতরা হলেন রামচন্দ্রপুরে গ্রামের আল মামুনের স্ত্রী জুলেখা খাতুন (২৫) ও তাদের মেয়ে আমেনা খাতুন (৫)।
জুলেখার চাচা তরিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছয় মাস আগে প্রতিবেশী আলাউদ্দিনের মেয়ে জুলি খাতুনের গলার একটি চেইন হারিয়ে যায়।
“গতকাল শনিবার আল মামুন ও জুলেখার মেয়ে আমেনা খাতুন একটি স্বর্ণের চেইন গলায় দিয়ে আলাউদ্দিনের দোকানে গেলে চেইনটি তাদের বলে শিশুর গলা থেকে চেনটি ছিনিয়ে নেন আলাউদ্দিন। এরপর তাকে চোর বলে তিরস্কার করে তাড়িয়ে দেন। মেয়েটির মা দোকানে এসে প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন আলাউদ্দিন।”
তরিকুল বলেন, “বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি জুলেখা। অপমান সহ্য করতে না পেরে রোববার সকালে মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে এবং নিজে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।”
শার্শা থানার ওসি আতাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
জুলেখার স্বামী আল মামুন বলেন, “আমার শাশুড়ি রোজার মাসে আমার স্ত্রীকে একটি স্বর্ণের চেইন দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমার শাশুড়ি শুক্রবারে এখানে আসার কথা রয়েছে।”
আল মামুন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সকালে কাজে যাওয়ার পর তার ভাইয়ের ফোনে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পান।