রোববার রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে উপ-পরিদর্শকের (এসআই) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
আইজিপি বলেন, “পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়ে পুলিশই সবচেয়ে বেশি আইনের প্রয়োগ করতে পারে।”
জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রতিটি থানাকে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত করার আহবান জানান আইজিপি জাবেদ।
তিনি বলেন, “প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি থানাতে হলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নারীদের রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে।”
নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সকল সেবাপ্রত্যাশী জনগণের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করারও আহ্বান জানান আইজিপি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকার অনুসৃত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে এই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখারও আহ্বান জানান।
এ সময় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ নাজিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ-হিল বাকী, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইজিপি ৩৭তম এসআই ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এক বছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে নতুন নিয়োগ পাওয়া ১ হাজার ৭৫৯ জন এসআই অংশ নেন। এর মধ্যে নারী সদস্য ১৩৭ জন। প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচজনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইজিপি।