এদিকে শীতে ইলিশের চাইতে অন্যান্য মাছের চাহিদা বেশি। এ কারণে দাম কম বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুর কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইলিশ গবেষক মো. আনিছুর রহমান বলেন, গত বছর দেশে ইলিশ ধরা পড়ে ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিকটন। এবার শীতেও ইলিশের আমদানি থাকায় উৎপাদনের সেই ধারা ছাড়িয়ে যাবে।
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আড়তদার ও শ্রমিকরা।
“অসময়ে বাজারে ইলিশ আসায় ব্যবসায়ীরা খুশি। তবে বাজারে অন্যান্য মাছের চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা কম।”
বর্তমানে চাঁদপুর মৎস্য আড়তে এক কেজির ইলিশ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইলিশ বিক্রেতা মো. ফারুক আহমদ।
তিনি বলেন, বেশি ইলিশ না পড়লে বিক্রি হয় ৯০০ টাকার বেশি। এসব ইলিশ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে শীতে বেশি ইলিশ আসায় ব্যবসায়ীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
তবে ইলিশ গবেষক আনিছুর রহমান বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে এখন ইলিশ মিলছে। এ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ইলিশ সংরক্ষণের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে সারা বছরই ইলিশ পাওয়া যাবে।
আনিছুর রহমান বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ, জাটকা ইলিশ রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে শীতের এ সময়ও বেশি ইলিশ দেখা যাচ্ছে, যা আনন্দের খবর। এতে বোঝা যায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষায় সফলতা এসেছে।