ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মিলন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন তারা। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহীর (ইউএনও) কাছে তারা অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।
চরভাগা ইউনিয়নের গৌরাঙ্গ বাজার ও বকাউলকান্দির উত্তর পাশে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। ইউনিয়নটির ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাদের আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফৌজিয়া আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিবছর এসব এলাকা থেকে পদ্মায় বিলীন হত রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। গত বছর ভাঙন রোধে সরকার কিছু জিওব্যাগ ফেললেও পুরোপুরিভাবে ভাঙন রোধ হয়নি।
“এর মধ্যে এখন অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালি উঠানো হচ্ছে। পাঁচ দিন আগে ড্রেজার বসানোর পর একদিনের মাথায় তীরঘেঁষে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।”
জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পাইকও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত আছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
তবে কাইয়ুম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “ড্রেজারের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। কে বা কারা আছে আমি জানি না।”
এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ওসি এনামুল হক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও তানভীর আল নাসিফ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি এনামুল ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
ইউএনও তানভীর বলেন, “অবৈধ ড্রেজারের বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। আবেদনের পরিপেক্ষিতে আমরা সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”