সোমবার নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি করেন রুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অর্নব পিউস বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রলীগের সদস্য।
আসামিরা হলেন রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাঈম রহমান নিবিড়, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু, চন্দন, রাকিব শাহরিয়ার, লাশিউর রহমান ও জাহিদ হাসান। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,অর্নবকে ২৪ জানুয়ারি রাতে জিয়া হলে এসে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরদিন সকালে হলের বাগানে ডেকে নিয়েও ভয় দেখানো হয়। পরে ২৬ জানুয়ারি দুপুরে অর্নবকে ডেকে জিয়া হলে রুয়েটের সাধারণ সম্পাদকের ৩০৮ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রুয়েটের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তপু বলেন, “অর্নব পিউস মাদকাসক্ত ছেলে। সে আমাদের ছাত্রলীগেরই সদস্য। সে মাদক খেয়ে এলোমেলো আচরণ করে বলে তাকে হল থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে সে বহিরাগতদের দিয়ে হুমকি দেয়। পরে ছাত্রলীগের সদস্যরা তাকে মারধর করে।”
ছাত্রলীগের সভাপতি নিবিড় বলেন, “আমরা চাই না ছাত্রলীগে কোনো মাদকাসক্ত থাকুক। অর্নব হলের অন্য শিক্ষার্থীদের মাদক খেয়ে বকাবকি করতো। তবে আর আমি এ ঘটনার দিন সেখানে ছিলাম না। তাই মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে অর্নব পিউস বিশ্বাসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মতিহার থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, মামলা হলেও এখনও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।