সিরাজগঞ্জে বকুল হত্যা: ৩ মাসেও কিনারা হয়নি

সিরাজগঞ্জে ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা বকুল হত্যার তিন মাসেও কোনো কিনারা হয়নি।

ইসরাইল হোসেন বাবু সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2020, 01:11 PM
Updated : 27 Jan 2020, 01:11 PM

সন্দেহভাজন হিসেবে কয়েকজনকে আটক করা হলেও তাদের কেউ স্বীকারোক্তি করেনি।

সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক বকুল হায়দার বকুলকে গত ২ নভেম্বর গুরি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মেহেদী হাসান সাগর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা লোকদের আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক হাসান বাছির মামলাটি তদন্ত করছেন।

হাসান বাছির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, পূর্ব শক্রতা বা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং পরকীয়া সর্ম্পক- এই তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে মামলার তদন্ত শুরু করা হয়। সন্দেহভাজন আটজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঘটনার সময় বকুলকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক রফিকুল ইসলামসহ ছয়জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

“তারা পুলিশের কাছে সন্দেহভাজন হলেও কেউই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। এছাড়া আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো তথ্য না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে; কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

ডিবি পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি ডিবির ওসির দায়িত্বে এসেছেন। বকুল হত্যা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

দ্রুত সময়ে মধ্যে ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।  

গত বছরের ২ নভেম্বর সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর সড়কের দত্তবাড়ি ব্রিজের কাছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর শটগানের গুলিতে নিহত হন বকুল হায়দার বকুল (৫২)।

বকুল বাগবাটি ইউনিয়নের দত্তবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী মুন্সীর ছেলে। তিনি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

ঘটনার পর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছিলেন, খুব কাছ থেকে গুলি করে বকুলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকতে পারে।