জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,“সরকারি নিদের্শনা অমান্য ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে জেলা সদরের তিনটি মাদ্রাসা, ১০টি মাধ্যমিক উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধানকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
“আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।”
গত শনিবার সারাদেশের মত নীলফামারী জেলার ৩০৫টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
গত রোববার বিকালে ওই নোটিশ প্রদানের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া না গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
ওই ১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-জেলা সদরের দুবাছুরী দ্বি-মুখি দাখিল মাদ্রাসা, চাকবারা দাখিল মাদ্রাসা, নতিবাড়ি একরামিয়া দাখিল মাদরাসা, দুহুলী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ইটাখোলা কালিতলা উচ্চ বিদ্যালয়, দারোয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়, শাপলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলতলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কিত্তিনিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যারয়, নতিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, চওড়া বড়গছা উচ্চ বিদ্যালয়, কুচুকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, বিশমুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এবং জলঢাকা উপজেলার বিন্নাকুড়ি পিসি উচ্চ বিদ্যালয়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়,‘শিক্ষা অধিদপ্তরে নির্দেশনায় গত ২৫ জানুয়ারি সারা দেশে একযোগে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই তারিখে ওই প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি এবং নির্বাচনের কোন প্রকার প্রস্তুতিও গ্রহণ করেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।
‘এহেন দায়িত্ব অবহেলায় কেন আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে না।’