সোমাবার দুপুরে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই কিশোরকে ভোররাতে ভৈরবের জগন্নাথপুরে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানায়।
ওই কিশোরকে ‘চিহ্নিত ছিনতাইকারি’ উল্লেখ করে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।”
তিনি জানান, ধর্ষণের ঘটনায় এ কিশোরসহ আরও চারজন জড়িত।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে র্যাব জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি রাতের ঘটনার আগে নরসিংদী থেকে বাসে মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে ধর্ষকদের একজন। পরে ভৈরব নামার পর তাকে সিলেটের বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে তাঁতারকান্দিতে রেল লাইনের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে তারা চারজন কিশোরীটিকে জোরপূর্বক দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
পরদিন দুপুরে ওই কিশোরীর তার খালা বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে অভিযুক্ত করে ভৈরব রেলওয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৮ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের আদালতে মেয়েটির জবানবন্দী রেকর্ড করেন বিচারক। বর্তমানে গাজীপুরের কোনাবাড়ি কিশোরী উন্নয়নকেন্দ্রে রয়েছে মেয়েটি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।