রোববার বিকালে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক রাজু (২৫) জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রামপুরার মো. হানিফার ছেলে।
আহত কাউছার ইসলামকে (২) স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের (কালিয়াকৈর সার্কেলের) সহকারী পুলিশ সুপার মো. আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, রাজু তার ছেলে, স্ত্রী ও শাশুড়িসহ মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। রাজু রাজমিস্ত্রির কাজ করেন এবং তার স্ত্রী কামরুন্নাহার স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
মামুন বলেন, প্রতিদিনের মতো সকালে স্ত্রী কর্মস্থলে চলে যান। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালি ঘরে খাটের উপর শুইয়ে কাউছারকে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চলান রাজু।
“এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে বাইরে থাকা তার নানি ঘরে এসে গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় কাউসারকে দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করেন।”
এরপর প্রতিবেশীরা গিয়ে রাজুকে ধরে পুলিশে দেয় এবং কাউছারকে স্থানীয় একটি হাসাপাতালে নিয়ে যান বলে মামুন জানান।
পারিবারিক কলহের জেরেই ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মাওনার আলহেরা হাসপাতালের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শ্বাস নালীর কিছু অংশ কাটা অবস্থায় তাকে এ হাসপাতালে আনা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়।