শনিবার তারা এই উদ্যোগ নেন। এরই মধ্যে রাস্তাটির ৫০০ মিটারে মাটি ফেলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেরুরচরের পাটাধোয়া সড়কের ওই সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থান খানাখন্দে ভরা। বেশ কিছু অংশ ধসে পড়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে এ সড়ক মেরামতের উদ্যোগে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, অন্য বিভিন্ন প্রকল্পের শ্রমিক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন।
মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জেহাদ বলেন, বন্যায় তার ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার রাস্তার বেশির ভাগ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
“বরাদ্দ যা পাওয়া গেছে তা দিয়ে এসব রাস্তা সংস্কার করা কোনোভাবেই সম্ভব না।”
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহাবুব খান বলেন, “মেরুরচর ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামোর ২৫ কিলোমিটারসহ ৩৫ কিলোমিটার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ৩৫ কিলোমিটার রাস্তাটিসহ জেলার অন্যান্য রাস্তাঘাটের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
“তাই এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে রাস্তাটি মেরামত করছেন। এরই মধ্যে রাস্তাটির ৫০০ মিটার অংশে মাটি ফেলা হয়েছে।”
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ স ম জমশেদ খোন্দকার বলেন, সামনে এসএসসি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পাটাধোয়া রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ না থাকায় সরকারিভাবেও সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
“তাই গ্রামবাসী, বিভিন্ন প্রকল্পের শ্রমিক, স্থানীয় শিক্ষার্থীরা রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। আমিও সঙ্গে থেকে তাদের সহযোগিতা করছি।”