নীলফামারীর এক মাদ্রাসায় হয়নি স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন

সরকারি নিদের্শ উপক্ষো করে নির্বাচন আয়োজন না করে নীলফামারীর দুবাছুড়ি দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় বাছাই পদ্ধতিতে ‘স্টুডেন্ট কেবিনেট’ গঠন করা হয়েছে।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2020, 02:30 PM
Updated : 25 Jan 2020, 02:30 PM

তৃণমূল থেকে গণতন্ত্র চর্চার উদ্দেশ্যে শনিবার দেশের সব মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘স্টুডেন্ট কেবিনেট’ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যিমে নির্দেশ দেয়। এজন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশের সব স্কুল ও মাদ্রাসায় উৎসব মূখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে দুবাছুড়ি দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- অন্য

দিনের মতই সেখানে পাঠ্দান কার্যক্রম চলছে। সেখানে কোন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়নি।

সেখানকার একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে-নির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কেবিনেট গঠন করতে হবে। কোন প্রকার সিলেকশনে কেবিনেট গঠন করা যাবে না।

অথচ এ প্রতিষ্ঠানের সুপার এম এ মোমেন সরকারের সব নিদের্শনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন ছাড়াই গত ২১ জানুয়ারি সিলেকশনের মাধ্যমে কেবিনেট গঠন করে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে জমা দিয়েছেন।”

তার নিজের তৈরি স্টুডেন্ট কেবিনেটের নামের তালিকা ২১ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে জমা দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে দুবাছুড়ি দ্বিমূখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার এম এ মোমেন বলেন, “[নিবৃাচন করার] সরকারি কোন নিদের্শনা আমি পায়নি। তবে আপনারা [সাংবাদিক] চাইলে, আমি এখনই নির্বাচনের আয়োজন করতে পারি।“

এ মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হোসেন বলেন,“অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ নির্বাচনী আমেজ বইছে। সবাই উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ভোট দিচ্ছে। অথচ আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার ছিটেফোটাও নেই।’

তার সহপাঠী সবুজ ইসলাম বলেন,“দুই সপ্তাহ আগে শ্রেণিকক্ষে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল ২৫ জানুয়ারি স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন হবে। এরপর আর কোন কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা কিছুই করা হয়নি।”

হাবিব সরকার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম কিন্তু নির্বাচনের আয়োজন না করায় আমি প্রার্থী হতে পারলাম না।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি জানার পর ঐ মাদ্রাসায় একজন কর্মকর্তা পাঠিয়েছি। আজ শনিবার তাই আগামীকাল আমি নিজে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করব।”