শিবিরের নাশকতায় জড়িত অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

রংপুরে নাশকতার ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ছাত্র শিবিরের পাঁচ নেতাকর্মী মধ্যে একজন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2020, 12:12 PM
Updated : 25 Jan 2020, 12:12 PM

গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান (২৩) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার খালিয়াপাড়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

তার সম্পর্কে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আটক হওয়া মেহেদী হাসান ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।

“সে নিয়মিত ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।”

নগরীর দেওডোবা ডাঙ্গিরপাড় থেকে আগের সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। রোববার পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পর শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত বলে জানিয়েছেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুড়িগ্রাম রাজারহাটের সাজ্জাদুর রহমান (২০), লালমনিরহাট সদরের নোমান সরকার (২৩), রংপুর পীরগাছার হাদিসুর রহমান (২০) ও বগুড়া সদরের রাফি ইবনে জামান (২৭)।

গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে ‘শিবির কর্মী’ উল্লেখ করে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তারা নিজের এলাকা ছেড়ে দীর্ঘদিন থেকে আত্মগোপনে থেকে শিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। 

গ্রেপ্তার ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ওসি জানান, মহানগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দেওডোবা ডাঙ্গিরপাড়ের মাসুদুর রহমানের বাসায় কয়েকজন যুবক গোপন বৈঠকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিল।

“এর ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে মেহেদী হাসানসহ আরো চার যুবককে আটক করা হয়।

“তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইলসহ ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বই, ব্যানার, চাঁদার রশিদ, পোস্টার ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।”

দীর্ঘদিন থেকেই ছাত্রলীগে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা অনুপ্রবেশ করছে বলে অভিযোগ উঠছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একাধিকবার এ কথা বলেছিলেন। এ দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও অনুপ্রবেশকারীদের কথা বলেছেন।

তাদের আটকের পর রংপুরের মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার এসআই এরশাদ আলী বাদী হয়ে এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।