শুক্রবার বিকালে টঙ্গীর গোপালপুরে পলাতক ফাঁসির আসামি নূরুল ইসলাম দিপু ও তার ভাই কারাবন্দী শহিদুল ইসলাম শিপুর বাড়িতে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, দুষ্কৃতকারীরা শিপু-দিপুর বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
“খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা চলে গেছে।”
দিপু ও শিপুর স্বজনদের অভিযোগ আওয়ামী লীগের লোকজন এই হামলা করেছে।
তবে হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের কেউ নন বলে দাবি করেন প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মতি।
আহসান উল্লাহ মাস্টারকে সর্বসাধারণ ভালো বাসত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার হত্যা মামলার আসামিকে জাপার মহাসচিব করায় এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল। এরই জেরে এলাকার ক্ষিপ্ত জনতা ওই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
২০০৪ সালের ৭ মে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আহসানউল্লাহ মাস্টার সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডে করা মামলায় ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ২২ ফাঁসির আসামির মধ্যে দিপু ও শিপু রয়েছেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের সময় জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক দিপুকে সম্প্রতি জাপার যুগ্ম মহাসচিব করেছে।
শিপুর স্ত্রী সুমি ও তার ভাইপো শাহরিয়ার নাজিম জানান, ‘আওয়ামী লীগের স্লোগান দিয়ে কয়েকশ লোক’ প্রথমে দিপুর বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পাশের শিপুর বাড়ির জানালার কাচ ভাংচুর করেছে এবং পেট্রোল দিয়ে দোতলায় অগ্নিসংযোগ করেছে।
টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আতিকুর রহমান জানান, আগুনে বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট পুড়ে গেছে এবং নিচতলাসহ অন্যান্য ইউনিটের কক্ষে জানালার কাচ ভাংচুর করা হয়েছে।
“দমকলকর্মীদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আগুন অন্যান্য ইউনিটে ছড়াতে পারেনি।”