রাবির আগের প্রশাসনের দুর্নীতির তদন্ত চান ভিসিপন্থিরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের ভিসির সময়ে ওঠা দুর্নীতির তদন্ত চান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2020, 04:40 PM
Updated : 23 Jan 2020, 04:54 PM

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

মুক্তিযু্দ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে পরিচিত শিক্ষকদের অপর অংশ বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে আন্দোলন করছেন। এ সংবাদ সম্মেলন বর্তমান ভিসির পক্ষের শিক্ষকদের ওই আন্দোলনকারীদের পাল্টা পদক্ষেপ।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম মজিবুর রহমান বলেন, “কয়েকজন শিক্ষক কেবল বর্তমান (উপাচার্য আব্দুস সোহবান) প্রশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছেন।

“তবে তারা এর আগে দায়িত্ব পালন করা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মিজানউদ্দিনের আমলে সংঘটিত আলোচিত ১০ কোটি টাকার অতিথি নিবাস দুর্নীতির ঘটনা, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে আর্থিক অনিয়ম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অনিয়ম এড়িয়ে যাচ্ছেন।

লিখি বক্তব্যে তিনি বলেন, “ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যার অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদীর নেতৃত্বে বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতির কথা বলে নানা কূটকৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করছেন তারা। তাদের বেশিরভাগ শিক্ষকের বিরুদ্ধেই একাডেমিক দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তাধীন আছে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যেকোন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার, সেটা যেকোন প্রশাসনেরই হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত ও আইনের শাসন রক্ষায় সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত চাই।

“এছাড়া দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

সংবাদ সম্মেলনে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দীন, লাইব্রেরি প্রশাসক অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র শীল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত অক্টোবর মাস থেকে ‘দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজের’ ব্যানারে আন্দোলনকারী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

তারা চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ১৭টি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনে ৩০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। সেগুলো নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কয়েকটি দপ্তর।