নওগাঁ ১৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল হক জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ২৩১ নম্বর মেইন পিলারের কাছে নোম্যান্স ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডিং পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নওগাঁ ১৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল হক ও ভারতের পক্ষে ১৫৯ বিএসএফের কমান্ডার হার্ষা জসি নের্তৃত্ব দেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। অপর দুইজনের লাশ ভারতে রয়েছে, যেগুলো পরে ফেরত পাঠানো হবে বলে বিএসএফ জানিয়েছে।
আরিফুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকা দিয়ে ভারত থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন কয়েকজন বাংলাদেশি। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করেন।
“গুলিতে নিহত হন দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫), পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুভ্র কুমারের ছেলে রণজিৎ কুমার (২৫) ও কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২)।
এই বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পর বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বিকালে বিএসএফ-এর সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক হয়।
“এ সময় বিএসএফ তাদের জওয়ানদের গুলিতে তিন ব্যাংলাদেশি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।”
বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরায় না ঘটে সেই আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএসএফের গুলিতে ভারতের অভ্যন্তরে নিহত বাংলাদেশি রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হবে বলে বিএসএফ জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও বিজিবির কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ১৬ বিজিবির হাপানিয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মোখলেছুর রহমান।
তবে পোরশা থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম জানান, বিকাল ৪টার দিকে বাংলাদেশ সীমানায় পড়ে থাকা নিহত মফিজুল ইসলামের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে পোরশা থানা পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।