পঞ্চগড়ের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিনহাজুর রহমান বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত কেরামত আলী (৪৩) জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ বিলাসী হাজারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতের এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ কেরামত তার ভায়রা ভাই মোশারফ হোসেনের নামে নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মোশারফ পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু ২০১৭ সালের ১১ জুলাই মেয়েটি আদালতকে বলে, মোশারফ ধর্ষণ করেননি। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ওই দিনই অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোশারফকে খালাস দেয়। একই সঙ্গে আদালত নিজে বাদী হয়ে কেরামতের বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় মামলা করে। সেই মামলায় কেরামত আলীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিনহাজুর রহমান।
কেরামত পলাতক রয়েছেন বলে জানান এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে কেরামত আলীর স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, “গ্রামের সবাই মিলে সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই ধর্ষণ মামলাটি তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু পরে আমার স্বামীর বিরুদ্ধেই মামলা হয়।”