স্থানীয়রা জানান, শরীয়তপুর পৌরসভার শরীয়তপুর-চন্দ্রপুর সড়কে বালুরঘাটের ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে পার হওয়া গেলেও যানবাহন চলছে না একেবারেই। রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পৌর সদরের সঙ্গে ছয় ইউনিয়নের যোগাযোগে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছ না বলে তাদের অভিযোগ।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল জানান, ২০১৭ সালে শরীয়তপুর-চন্দ্রপুর সড়কে রাজগঞ্জ বালুরঘাট এলাকার কীর্তিনাশা নদীর দক্ষিণ পাড়ে প্রায় ২০০ ফুট রাস্তা ধসে পড়ে। এরপর থেকে উপজেলা সদরের সঙ্গে বিনোদপুর, চন্দ্রপুর, তুলাসার, মাহমুদপুর, চিকন্দি, শৌলপাড়া ইউনিয়নের যাতাোত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, শরীয়তপুর-চন্দ্রপুর সড়কের রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী না থাকায় তাদের তিন কিলোমিটার ঘুরে রাজগঞ্জ স্বর্ণঘোষ হয়ে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। এছাড়া শুকনো মৌসুমে ভাঙা রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না।
মেরামতের জন্য পৌর কতৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী শাসন না করার কারণে পৌর কতৃপক্ষ কোনো কাজ করতে পারছে না বলে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।
তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন ফকির বলেন, “এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছয়লাখ টাকা খরচ করে পাইলিং করেছিলাম। বর্তমানে রাস্তা ভাঙার করণে অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান চলছে না। এতে দিনমজুরদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।”
চর পাতানিধি গ্রামের সেকান্দর মল্লিক বলেন, রাস্তাটি নদীতে ধসে গিয়ে যানবাহন চলাচলসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। রাস্তাটি মেরামত করার কেউ নেই।”
স্থানীয় রাজিয়া বেগম বলেন, “ভাঙনের ফলে আমাদের বাড়ি-ঘর হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় আমাদের বাড়ি নদীতে ভেঙে যেতে পারে। জরুরিভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার।”
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, “আমি নদীর পাড়ে বাঁশ দিয়ে বেরিকেড করে মাটি ফেলেছিলাম; কিন্তু নদী ভাঙনের কারণে তা রক্ষা করা যায়নি।”
নদী শাসনের কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদেরকে বার বার তাগাদা দেওয়ার পরেও তারা কাজ করছে না।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, “ভাঙন প্রতিরোধের জন্য আমাদের টাকা নেই। পাশাপাশি রাজস্ব খাতে টাকা কম থাকে। তাই কাজ করতে পারছি না।”
এ কাজের জন্য বাজেট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।