ঝালকাঠিতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে মারধর, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগে ঝালকাঠির বিএনপির এক নেতাসহ ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2020, 04:27 PM
Updated : 22 Jan 2020, 04:27 PM

বুধবার দুপুরে আটক হওয়ার পর রাতে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকুতরা হলেন রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ ও কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক শাহিন হাওলাদার।

রাজাপুর থানার পরদির্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুপুরে উপজেলার কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল্লাহর কক্ষে ঢুকে তাকে রাজাপুর বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ সহ কয়েকজন লোক মারধর করে।

“এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে বিএনপি নেতা ও এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়। প্রাথমিক তদন্তে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে মারধরের সত্যতা পাওয়া যায়।”

রাতে ঘটনার শিকার অধ্যক্ষ বাদী হয়ে যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চমন, তারা চাচা উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, মাদ্রাসার উপধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ও প্রভাষক শাহিন হাওলাদারের নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে মামলা করেন।

মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর অফিস সহকারী কাম কমপিউটার পদের এক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়া মো. হাফিজুর রহমানকে নিয়ম অনুযায়ী মাদ্রাসায় নিয়োগ দেয়া হয়।

“ওই নিয়োগ পরীক্ষায় তালুদার আবুল কালাম আজাদের বড় ভাইয়ের ছেলে স্থানীয় যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চমনের স্ত্রী যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। ওই পদে চমনের স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে চাচা-ভাতিজা আমাকে চাপ দিতে থাকে।  

“বুধবার সকালে আবুল কালাম ও চমন লোকজন নিয়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আমাকে মারধর করতে থাকে। আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোবাশ্বের হোসেন ও এবতোদায়ী প্রধান সাইদুর রহমান আহত হন।

“আমার নিজের প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষকও মারধরকারীদের সহযোগিতা করেন।”