বুধবার সিরাজগঞ্জে দুদকের এক গণশুনানিতে তিনি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ বেশি ধর্মভীরু, অথচ এ অঞ্চলের মানুষ বেশি দুর্নীতি করে। এ দুর্নীতিই বাংলাদেশের জিডিপি অর্জনের আড়াই থেকে তিন ভাগ খেয়ে ফেলছে।”
সকালে জেলা শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ‘জনতার শক্তি, রুখবে দুর্নীতি’ শ্লোগানে আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি। এটা থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য দুর্নীতিবাজ মানুষকে আগে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তারপর আল্লাহপাকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই সে ক্ষমা পেতে পারে।
যেসব অভিযোগের তদন্ত করার ক্ষমতা দুদকের হাতে নেই সেগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
গণশুনানি অনুষ্ঠানের আগে মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে সভা হয়। এরপর গণশুনানি শুরু হয়।
গণশুনানিতে বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে করা ৪৩টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের এক স্বাস্থ্য-শিক্ষা অফিসারের অনিয়ম ও দুর্নীতি, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বদলিজনিত কারণে উৎকোচ দাবি এবং সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদকের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গণশুনানিতে দুদক সিরাজগঞ্জ-পাবনা সম্বনিত কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসক ফারুক আহাম্মাদের সভাপতিত্বে দুদক রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মোর্শেদ আলম, সিরাজগঞ্জ-পাবনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হেলাল আহম্মেদ বক্তব্য রাখেন।