মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও এ নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তার ছেলে খালেদ মোসাদ্দেক টুটু।
নব্বই বছর বয়সী এই প্রগতিশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৫২ সালে কিশোরগঞ্জে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের অন্যতম ছিলেন ছাত্রনেতা মুহম্মদ আবু সিদ্দীক। কিশোরগঞ্জ মহকুমা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। তার সভাপতিত্বে সে বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এ ভাষা সৈনিকের মেয়ে বদরুন্নাহার পলি জানান, বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ ভাষাসৈনিকের মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে রাখা হবে।
“জোহর নামাজের পর শহরের শহীদী মসজিদে প্রথম এবং দুপুর ৩টায় জঙ্গলবাড়ি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় এবং আসর নামাজের পর করিমগঞ্জ পাইলট স্কুলমাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
“পরে করিমগঞ্জে পারিবারিক গোরস্তানে মরদেহ দাফন করা হবে।”
কর্মজীবনে ফাইজার ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের কর্মকর্তা এবং শহরের স্বনামধন্য চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান নিরাময় ডায়াগনস্টিক সার্ভিসের উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিন ছেলে, তিন মেয়ে, স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। মাত্র ছয় মাস আগে তার অপর ছেলে রেনেটার পরিচালক খলিল মোসাদ্দেক নুটু মারা যান।