থানায় ব্যবসায়ীর টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে এক গরু ব্যবসায়ীকে আটকে প্রায় এক লাখ টাকা রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2020, 12:31 PM
Updated : 21 Jan 2020, 12:31 PM

শাহজাদপুর থানায় গত ১৪ জানুয়ারি এ ঘটনার অভিযোগ করেন শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামের মৃত দরদ আলী সেখের ছেলে আজাদ আলী সেখ।

তবে শাহজাদপুর থানার এসআই সামিউল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের লিখিত অভিযোগে আজাদ আলী সেখ বলেন, ১৪ জানুয়ারি পার্শ্ববর্তী পাবনার বেড়া উপজেলার চতুর হাটে ছয়টি গরু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচটি বিক্রি করে থেকে যাওয়া একটি গরু নিয়ে ভটভটিযোগে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে করতোয়া সেতুর পূর্বপাশে এসআই সামিউল ইসলাম তার পথরোধ করে বিভিন্ন উদ্ভট প্রশ্ন করতে থাকেন।

“গরু ব্যবসায়ের বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পরও এসআই সামিউল জোরপূর্বক আমাকে ও ভটভটি চালককে শাহজাদপুর থানায় নিয়ে যান।” 

এসআই সামিউল ইসলাম

আজাদ বলেন, থানায় নিয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা গরু বিক্রির ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের থানা হাজতে আটকে রাখেন।

“এরপর রাত ৩টার দিকে কাগজে টিপসই নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ছিনিয়ে নেওয়া টাকা ফেরত চাইলে এসআই সামিউল ইসলাম ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি ৯৩ হাজার টাকা চাইলে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানা থেকে বের করে দেন।”

এ ঘটনায় গত ১৭ জানুয়ারি তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (শাহজাদপুর সার্কেল) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে এসআই সামিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গরু চোর সন্দেহে আজাদ আলী ও ভটভটির চালক স্বপনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্দেহ ভুল প্রমাণিত হওয়ায় রাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

“তার কাছে যে টাকা পাওয়া গিয়েছিল সবটাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো টাকা রেখে দেওয়া হয়নি।” 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) ফাহমিদা হক শেলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসআই সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারীকে সাক্ষাৎ করতে বলা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”