সোমবার সকালে এ মামলায় আদালতের নির্দেশে শিশুটির লাশ কবর থেকে উঠিয়ে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লালপুর উপজেলার কেশববাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মোছা. সাবানা খাতুনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন তার স্বামী উপজেলার চক বাদকয়া গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে সোহেল রানা।
লালপুর থানার আব্দুলপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক আকবর আলী জানান, দেড় বছর আগে সাবানার সঙ্গে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশও হয়েছে।
“এ অবস্থায় গত ২৩ ডিসেম্বর লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাবানা খাতুন একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। জন্মের পর শিশুটিকে তার নানাবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুইদিন পর শিশুটি মারা গেলে স্থানীয় এক কবরস্থানে দাফন করা হয়।“
এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা সোহেল রানা ১৩ জানুয়ারি স্ত্রী সাবানা খাতুন ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালতের নির্দেশে সোমবার সকালে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তবে শিশুর মা সাবানা খাতুন জানান, শিশুটি অসুস্থ হয়ে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।