সোমবার দুপুরে খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বটিয়াঘাটা উপজেলার বৃত্তি শলুয়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে মনিরুজ্জামান ঘরামী, পারশেমারির মজিদ সরদারের ছেলে হুমায়ুন সরদার, গাওঘরার আমজেদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর সরদার একই এলাকার নুর শেখের ছেলে এনামুল শেখ, খালেক শেখের ছেলে কাদের শেখ ও সিরাজ শেখের ছেলে পিন্টু শেখ।
২০০৭ সালের ১ এপ্রিল রাতে দুবৃত্তের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নিহতমহন রিপন রায় (১৯)। তিনি বটিয়াঘাটা উপজেলার গড়িয়াডাঙ্গার রাম প্রসাদ রায়ের ছেলে।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. সায়েদুল হক শাহীন জানান, ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার গড়িয়াডাঙ্গার রাম প্রসাদ রায়ের ছেলে রিপন তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিডির দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকালে বৃত্তি খলশীবুনিয়া এলাকার রাস্তার পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
পরে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ রিপনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ২ এপ্রিল রিপনের বাবা বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১০ সালের ২০ জুলাই সিআইডি’র এসআই খান মাহবুবুর রহমান আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন।