উত্তরে হিমেল হাওয়া, সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ হিমেল হাওয়ায় উত্তরে ফের শীতের তীব্রতা বেড়েছে। কয়েকদিন আগেই সারা দেশে বয়ে গেছে শৈত্য প্রবাহ।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিনীলফামারী ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2020, 04:54 PM
Updated : 19 Jan 2020, 04:54 PM

রোববার দেশের কয়েকটি স্থানে হালকা বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। সপ্তাহের শেষ দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।

রোবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একইদিন রাজশাহী বিভাগে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। নীলফামারী ও গাইবান্ধায় বৃষ্টি হয়েছে।

নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, রোববার সকাল থেকে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা ছিল আকাশ। আর দুপুর থেকে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। ফলে সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি।

বৈরী আবহাওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় শহরের রাস্তাঘাট ছিলা প্রায় ফাঁকা।

ঘন কুয়াশা আর বৃষ্টির কারণে যানবাহন গুলোকে দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে।

ছবি: নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়া সহকারী মো. লোকমান হাকিম বলেন, শনিবার নীলফামারী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাত থেকে তাপমাত্রা কমে রোববার জেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ এবং সর্বোচ্চ ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয় বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “আগামী ৭২ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি, হালকা, কিংবা মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে জেলায় তাপমাত্রা আরও কমবে।”

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, রোববার সারাদিন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। ফলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।

মাঘের এই ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা বাতাস মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছে।

ছবি: নীলফামারী প্রতিনিধি

জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হয়নি। স্কুল-কলেজগুলোতেও রোববার  শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল; শহরের রাস্তাঘাট ছিল প্রায় জনশূন্য।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ. কে. এম. ইদ্রিশ আলী বলেন, জেলায় বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলায় ২০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।