আসামির দেওয়া তথ্যে রংপুরে অপহৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ঢাকা থেকে অপহরণের নয়দিন পর হেলথ কেয়ার কর্মকর্তা তোশারেফ হোসেন পপির লাশ রংপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2020, 08:24 AM
Updated : 19 Jan 2020, 08:31 AM

এ মামলার আসামি রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কনস্টেবল রবিউল ইসলামের দেওয়া তথ্যে রোববার দুপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরের নন্দনপুর গ্রামের আখক্ষেত সংলগ্ন একটি ফাঁকা জমিতে পুঁতে রাখা তোশারেফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তোশারেফ ঢাকায় ‘আরমান হেল্থ কেয়ারের’ অ্যাডমিনে কর্মরত ছিলেন।

গত ১১ জানুয়ারি ঢাকা থেকে তোশারেফকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তার বোন সাজিয়া আফরিন ১৬ জানুয়ারি রংপুর কোতোয়ালি থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শহিদুল্যাহ কাওছার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ১১ জানুয়ারি ঢাকা থেকে ডেকে আনার পর রংপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তোশারেফকে অপহরণ করে কনস্টেবল রবিউল।

এ ঘটনায় তোশারেফের পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ রবিউলকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তার তথ্য অনুযায়ী তশারেফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

রবিউলের বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “পপিকে অপহরণের পর রবিউল রংপুরের শ্যামপুর এলাকায় তার বড় বোন লাবণী আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন করে হত্যার পর পাশের জমিতে পপির লাশ পুঁতে রাখে।”

তিনি বলেন, পুলিশ পপির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ এবং এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাইফুল ও বিপুল নামে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানায়।