শনিবার দুপুরে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাবনেরচর এলাকায় তার ভাসমান মৃতদেহ পাওয়া যায়।
হিজলা থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমান জানান, মরদেহটি মেহেদি হাসান বাপ্পী (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রের। তিনি রাজধানীর উত্তরা ট্রাস্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
তার বাবা ঝালকাঠী জেলার কোনাবলিয়া গ্রামের হামিদ বিশ্বাস সৌদি আরব প্রবাসী। মা রেহেনা পারভিন মুন্নীর সঙ্গে উত্তরাতেই থাকতেন বাপ্পী।
এসআই সিদ্দিকুর জানান, বাপ্পীর নানা বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মুণ্ডুপাশা গ্রামে। নানা বাড়ি যাওয়া উদ্দেশ্যে গত ১১ জানুয়ারি রাজধানীর সদরঘাট থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটের এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে ওঠেন মা ও ছেলে। তারা আলাদা দুটি কেবিনে ছিলেন।
বাপ্পীর মা কেবিনে ঘুমিয়ে থাকলেও তাকে রাত ৩টার দিকে বাপ্পীকে বাইরে হাঁটাচলা করতে দেখা যায় লঞ্চের সিসি টিভি ফুটেজে। এরপরই বাপ্পী নিখোঁজ হন।
সিদ্দিকুর বলেন, দুপুরে জেলেরা মেঘনা নদী থেকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করার পর স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। পরে পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।