তবে জেলা যুবলীগ একে ‘মিথ্যা সাজানো মামলা’ দাবি করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
মামলার পর পুলিশ মনিরুজ্জামান সাজন (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান।
ওসি মামলার নথির বরাতে জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে জেলা শহরের মধুপুর রোড থেকে নম্বরবিহীন একটি মোটরসাইকেলে করে সাজন, শাকিল ও রিয়াদ নামে তিনজন দয়াময়ী রোডের দিকে যাচ্ছিলেন।
শহরের গেইপাড় ট্রাফিক বক্সের সামনে সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের সিগন্যাল দিয়ে থামান। তিনি কাগজপত্র দেখতে চান এবং হেলমেট না পরার কারণ জিজ্ঞেস করেন।
ওসি সালেমুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় তিন ব্যক্তি উত্তেজিত হন। তারা বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেন। পরে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজু ফোন করে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দিতে ববলেন।
“এর ১০-১৫ মিনিট পর রাজুর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল আসে ট্রাফিক বক্সের সামনে। একপর্যায়ে তারা সার্জেন্ট মামুন ও কনস্টেবল যোবায়েরকে কিলঘুসি মারেন। আহত দুই পুলিশকে জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।”
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই সার্জেন্ট মামুন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন যুবলীগ সভাপতি রাজু, রিপন দাম ওরফে চিকু, সুকান্ত, লিখন, রাজিব দে, মানিক, শাকিল, রিয়াদ, শুভ মনিরুজ্জামান সাজন, মাহমুদুল হাসান ও মাসুম সরকার। এছাড়া অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, পরে পুলিশ মনিরুজ্জামান সাজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তবে জেলা যুবলীগ একে ‘মিথ্যা সাজানো মামলা’ দাবি করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ বলেন, “যুবলীগ সভাপতি রাজু অত্যন্ত সজহ-সরল ভদ্র মানুষ। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখে। যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা মামলা করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
“প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করার ক্ষমতা জেলা যুবলীগের থাকলেও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নীরব রয়েছি। মিথ্যা সাজানো এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”
বিষয়টি তারা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অবগত করেছেন বলে তিনি জানান।