তবে চেয়ারম্যান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
জেলার গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান হবির অভিযোগ, তিনি একটি জন্মনিবন্ধন সনদে স্বাক্ষর নিতে গেলে চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন।
হবি বলেন, চেয়ারম্যান ময়মনসিংহ শহরের কলেজ রোডে নিজের বাড়িতে থাকেন। তিনি এলাকায় আসেন কম। তাই একটি জন্মনিবন্ধন সনদে তার স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য তার বাসায় গিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে।
“এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান খোকা আমার জামার কলার চেপে ধরে মারপিট করেন। এতে আমার বাম চোখ, গাল ও তলপেটে মারাত্মক আঘাত পেয়েছি। পরে স্থানীয় দুই-তিনজন লোক এসে আমাকে রক্ষা করে। তাদের সহযোগিতায় আমি কোনোমতে জীবন নিয়ে পালিয়ে এসেছি।”
এ বিষয়ে অন্য ইউপি সদস্যদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার সব ইউপি সদস্য থানায় গিয়ে অভিযোগ দেবেন।
এদিকে মারধরের খবর শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী রিপনসহ অন্য সদস্যরা।
প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন, “এমন ঘটনা লজ্জাজনক এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন। একজন চেয়ারম্যান এভাবে ইউপি সদস্যকে মারধর করতে পারেন না। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।”
৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আহসান হাবীব মালেক আরও অভিযোগ করেছেন, “চেয়ারম্যান খোকা ইউনিয়নের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন। প্রতিবাদ করলে তিনি ইউপি সদস্যদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন।”
তবে চেয়ারম্যান খোকা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চেয়ারম্যান খোকা বলেন, “এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অনিয়ম-দুর্নীতি বা কাউকে মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়। ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হবি মানসিক ভারসাম্যহীন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য নাটক সাজানো হচ্ছে।”