মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস আল্লামা সাজিদুর রহমান বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় জলসা চলাকালে তাদের মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় জেলা আহমদিয়া মুসলিম জামাতের নায়েব এ আমির মো. মঞ্জুর হোসেন কওমি মাদ্রাসা ছাত্রদের দায়ী করেছেন।
তবে কওমি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ওই হামলার সময় মসজিদ থেকেও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়লে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র আহত হন।
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস আল্লামা সাজিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদ্রাসা ছাত্রদের উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে আগামী সোমবার আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছি।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরিস্থিতি এখনও শান্ত। তবে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি।
তার ভাষ্য, আহমদিয়ারা মাদ্রসা ছাত্রদের উপর হামলা করে কয়েকজনকে আহত করেছে। এর প্রতিবাদে তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
হামলার ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা আহমদিয়া মুসলিম জামাতের নায়েব এ আমীর মো. মঞ্জুর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। হামলাকারীরা শুধু মসজিদে হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা আমাদের মসজিদের পাশে কান্দিপাড়ার আহমদিয়া জামাতের মোবাশ্বের আহমদ এবং মাসুম আহমেদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছে এবং লুটপাট করেছে।”