বৃহস্পতিবার দিঘলিয়া উপজেলার সাগর জুটমিলে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ আশরাফুল আলীকে (২২) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আশরাফুল স্থানীয় সেনহাটি এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
আশরাফুলের চাচা মাসুদ শেখ জানান, কাজ শেষে মিলের ভেতর ঘুমিয়েছিলেন আশরাফুল। এ সময় মিলের শ্রমিক নাজমুলসহ কয়েকজন তার হাত-পা চেপে ধরে পাটকলের ময়লা পরিষ্কার করার মেশিনের নল মলদ্বারে ঢুকিয়ে হাওয়া দেয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আশরাফুল।
পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দিঘলিয়া থানার ওসি মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, “সাগর জুটমিলের এক শ্রমিকের পায়ুপথে ময়লা পরিষ্কার করার মেশিন দিয়ে হাওয়া দেওয়ার কথা শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তাকে হাসপাতালে দেখে এসেছি আমরা।”
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিঘলিয়া থানার এসআই জুলিয়ার বলেন, “দুপুরে হাসপাতালে তার অপারেশন হয়েছে। সে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি সার্বিকভাবে মনিটরিং করছে।”
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারুকুজ্জামান বলেন, ভোরে ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখানে ভর্তি করা হয়। তার অপরারেশন করা হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। “২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত না হলে বলা যাবে না সে শঙ্কামুক্ত কিনা।”
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট খুলনার টুটপাড়া এলাকায় রাকিব নামে এক শিশুকে পায়ুপথে হাওয়া দিলে তার মৃত্যু হয়।