তবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি ডাকাত তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে পুলিশ বা পরিবার কিছু বলতে পারেনি।
বরুড়া থানার ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়া জানান, নিহত শরীফ উদ্দিন খান (৪৫) বরুড়া উপজেলার আড্ডা পল্লীবিদ্যুৎ অভিযোগকেন্দ্রে ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করতেন। ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় সপরিবার থাকতেন তিনি।
নিহত শরীফের স্ত্রী হিমু আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে তিনি শরীফের চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে গিয়ে তাকে আহত দেখতে পান। তিনি মোবাইল ফোনে শরীফের সহকর্মীদের জানান। তারা এসে তাকে দ্রুত বরুড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় ঘরের জানাল কাটা এবং আলমারি খোলা দেখতে পান বলে জানান হিমু আক্তার।
তিনি বলেন, “জানালা ভেঙ্গে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা ঘরে থেকে দেড় লাখ টাকা ও একটি সোনার চেইন নিয়ে গেছে।”
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বরুড়া থানার এসআই সাধনকান্তি চৌধুরী বলেন, “শরীফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তার মাথায় তিন-চারটি গভীর জখমের চিহ্ন রয়েছে। ক্ষতের ফলে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়ে থাকবে।”
তবে এটি ডাকাতি হামলা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি।
ওসি সত্যজিৎ বলেন, “ঘটনার মূল কারণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বা ডাকাতির ঘটনা। খুব শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হবে।”
শরীফ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানার ভদ্রঘাট এলাকার সাইদউদ্দিন খানের ছেলে। তিন মেয়ের বাবা তিনি।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠিয়েছে পুলিশ।