জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলছেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ২০ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি জায়গায় ৪ হাজার ১১০টি বাক্স বসিয়ে হচ্ছে মৌ-চাষ।
জামালপুরে সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ-চাষের এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গত কয়েক বছর ধরেই। চলতি মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেড় শতাধিক পেশাদার মৌয়াল জামালপুরের সাতটি উপজেলায় সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন।
ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা, পাথর্শী, গাইবান্ধা, চরপুটিমারী, চরগোয়ালিনী ও গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বেশিরভাগ ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। সেসব মাঠে এখন মৌয়ালদের দারুণ ব্যস্ততা।
এসব উপজেলার মাঠে মাঠে এখন অপরূপ দৃশ্য। পুরো মাঠ যেন ঢেকে আছে হলুদ গালিচায়। ক্ষেতের পাশে মৌয়ালদের বসানো বিশেষ বাক্স থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাচ্ছে মৌমাছি। ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুল ফুলে। মধু নিয়ে জমা করছে বাক্সের মৌচাকে।
একই চিত্র জেলার দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, বকশীগঞ্জ ও সদর উপজেলার সরিষা খেতগুলোতে।
সলামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স দেখভাল করছিলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে আসা মৌয়াল সোহরাব হোসেন।
জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ‘টরি-৭’ ও ‘বারি ১৪’সহ উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ হয়েছে।
“আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলনও ভাল হয়েছে। বাজার মূল্য ভাল থাকলে চাষিরা এবার ভালো লাভ পাবেন বলে আশা করা যায়।”