নিহত নাজমুল হাসানের (২৫) বাবা আজিজুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে বাঘা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের ভোলার মোড়ে একদল যুবক নাজমুলকে কুপিয়ে হত্যা করে। নাজমুল সুলতানপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে।
এ হামলায় নাজমুলের ভাগ্নে তারিকুল ইসলাম ও ভগ্নিপতি (তারিকুলের বাবা) শাহজাহান আলী মাস্টার আহত হয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের স্ত্রী রফিজা বেগম, রানা আলীর স্ত্রী রিতা বেগম, নাটোরের লালাপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে জিল্লুর রহমান, মনিহারপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন, আমজাদ হোসেনের ছেলে সজিব আহমেদ ও রঞ্জিতের ছেলে নজরুল ইসলাম।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলায় সুলতানপুর গ্রামের আরজেদ আলীর ‘বখাটে’ ছেলে সুমনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
“পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন এজাহারভুক্ত আসামি। তবে প্রধান আসামি সুমন পলাতক রয়েছে।”
মেয়েটির ভাই সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান তার বাবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ‘বখাটে’ সুমন ও তার সহযোগীরা ভোলার মোড়ে তার বাবার উপর হামলা চালায়। বোনের ফোন পেয়ে সেখানে ছুটে যান তার মামা নাজমুল হাসান।
“মামা গিয়ে বাবার উপর হামলার প্রতিবাদ জানান। এ সময় সুমন ও তার সহযোগিতারা মামাকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও তারা পিটিয়ে জখম করে।”