মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের ইনডেক্স প্লাজার সামনে এ হত্যার পর রাতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
নিহত ইয়াসিন মিয়া (১৭) শহরের পশ্চিম দত্তপাড়ার এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আড়াই হাজারের আবদুল্লাহপুর এলাকার জহুর আলমের ছেলে মারুফ আল হোসাইন ওরফে মোটা ফারুখ (২১), মনোহরদী একদুয়ারিয়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন আদনান (২১), সদর উপজেলার নাগরিয়াকান্দি এলাকার মোর্শেদ আলমের ছেলে মারুফ ওরফে ভাগিনা মারুফ (২০), পৌর শহরের বানিয়াছল এলাকার গাজী আসাদের ছেলে শোয়েব (৩৫)।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, নিহত ও গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। ঘটনার নয় মাস আগে মারুফ আল হোসাইন তাদের বন্ধু আলিফকে পাঁচ হাজার টাকা ধার দেন। আলিফ টাকা শোধ করতে না পেরে তার ডিএসএলআর ক্যামেরাটি ভাগিনা মারুফের কাছে বন্ধক দেন। এ ক্যামেরা নিয়ে তাদের মধ্যে গত সোমবার ঝগড়া হয়। এ সময় ইয়াসিন ও আলিফের বন্ধুরা ভাগিনা মারুফ ও দেলোয়ারকে মারধর করেন। এরই জেরে বুধবার রাতে দেলোয়ার ও ভাগিনা মারুফের পরামর্শে মোটা ফারুখ ইয়াসিনকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ইয়াসিন মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।