বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান বুধবার এই দিন ঠিক করে দেন। অন্যদিকে, বরগুনার শিশু আদালত দুই কিশোর আসামির জামিন মঞ্জুর করেছে।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, মিন্নি মামলার সাক্ষীদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে গত ৮ জানুয়ারি তার জামিন বাতিলের আবেদন করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। পরে আদালত কেন তার জামিন বাতিল করা হবে না তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
“নোটিশের জবাব দাখিল করেছি। আদালত আগামী ২৬ জানুয়ারি শুনানির দিন ঠিক করেছে। জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে আদালত মিন্নির জামিন বহাল রাখবে বলে আশা করি।”
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক ও অবিশ্বাসযোগ্য’ বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী পিপি ভুবনচন্দ্র হাওলাদার বলেন, “গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আগের দিন মিন্নি সাক্ষীদের হত্যার হুমকি দেন। তাই আমি জামিন বাতিলের আবেদন করেছি।”
কিশোর দুই আসামির জামিন
অন্যদিকে, বুধবার বিকেলে এ হত্যা মামলার দুই কিশোর আসামির জামিন মঞ্জুর করেন বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
তাদের একজন এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এ নিয়ে পাঁচ কিশোর আসামির জামিন মঞ্জুর করল আদালত।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ভূবন চন্দ্র হাওলাদার জানান, বুধবার বিকেলে বরগুনার শিশু আদালতে ১৪ অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন নিহত রিফাতের এক চাচা আব্দুল আজিজ শরীফ ও একমাত্র বোন ইসরাত জাহান মৌ।
এ নিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার কিশোর আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচ জন সাক্ষী দিলেন।
এ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত বলে জানান তিনি।
গত বছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পহেলা সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং কিশোর ১৪ জন।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আট আসামি কারাগারে রয়েছেন। মো. মুসা নামে একজন রয়েছেন পলাতক। অপর আসামি হলেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন।