মঙ্গলবার ঢাকার খিলগাঁও সি ব্লক থেকে কুমিল্লা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
গ্রেপ্তার ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাকই গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। বর্তমানে খিলগাঁও ৩৬৪ ব্লক সি এলাকায় বসবাস করেন।
“সর্বশেষ কুমিল্লায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে এক প্রার্থীর বাবাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি স্বাক্ষরিত একটি নকল চিঠি দেখান; সেখানে পুলিশের আইজি ও স্বরাষ্ট সচিব সুপারিশ করেছেন বলে উল্লেখ আছে।”
তা দেখিয়ে ওই চাকরিপ্রার্থীর বাবার কাছ থেকে ১১ লাখ নেন বলে এসপি জানান।
“এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে নানাজনের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪০ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন।”
এসপি বলেন, এরকম ১১ জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমনের নেতৃত্বে দেবপুর ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে গত ১৪ দিন ‘প্রতারক’ ফখরুদ্দিনকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সবশেষে মঙ্গলবার খিলগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুধু কুমিল্লায় নয় ফখরুদ্দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করেছে প্রমাণ মিলেছে, বলেন এসপি নুরুল ইসলাম।
এসপি আরও বলেন, “পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফখরুদ্দিন জানায়- ১৯৯১ সালে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করার পর শিক্ষানবিশ অবস্থাতেই ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের দায়ে তার চাকরি চলে যায়। তাছাড়া ২০০০ সালে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইকালে ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়ে সাতমাস হাজতবাস করে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত হন।”