মির্জাপুর থানার ওসি সায়েদুল ইসলাম বলেন, তিনদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
“শরিয়ত বয়াতি তার আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য অনুতপ্ত। রিমান্ডে তিনি তার ভুল স্বীকার করেছেন।”
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলার রৌহাট্টেক পীর এ কামেল হযরত হেলাল শাহ’র ১০ম বাৎসরিক মিলন মেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে এই বয়াতির বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আগধল্যা গ্রামের জামে মসজিদের ঈমাম ফরিদুল ইসলাম মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।
শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই মির্জাপুর থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে টাঙ্গাইল কোর্টে হাজির করলে বিচারক তিন দিন মঞ্জুর করেন।
শরিয়ত বয়াতি মির্জাপুরের আগধল্যা গ্রামের মৃত পবন সরকারের ছেলে।
শরিয়ত বয়াতিকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার অনুসারী শতাধিক নারীপুরুষ মির্জাপুর থানায় ভিড় জমান।
মঙ্গলবারও তাকে আদালতে আনার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাউল শিল্পী এবং তার পরিবারের সদস্যসহ গ্রামের লোকজন মির্জাপুর থানায় আসেন।
শরিয়ত বয়াতির ভাই মারফত সরকার বলেন, “আমার ভাই একজন মাটির মানুষ। সে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তাই নবী রাসুল এবং ধর্ম সম্পর্কে সে আপত্তিকর কথা বলতে পারে না।”
মঙ্গলবার দুপুরে মির্জাপুর থানায় শরিয়ত বয়াতিকে দেখতে আসা বাউল শিল্পী বাবলি দেওয়ান বলেন, “মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। হয়তবা শরিয়ত সরকারের বেলায় তাই হতে পারে। পালা গান গাইতে গিয়ে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক করতে হয়। তখন কোনো ভুল হতে পারে।”
বাউল শিল্পী কাজল দেওয়ান বলেন, “কথা বলতে গেলে কোনো না কোনো ভুল হতে পারে। শরিয়ত বয়াতির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।”