আশুলিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে আটক নারীর বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকার আশুলিয়ায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে গ্রেপ্তার শায়লা রহমান শারমিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2020, 11:07 AM
Updated : 14 Jan 2020, 11:08 AM

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জিয়াউল ইসলাম জানান, এসআই মিরাজ হোসেন সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাটি করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন শায়লার স্বামী ‘নব্য জেএমবির আইটি প্রধান’ তানভীর ও জাকারিয়া নামে এক ব্যক্তি।

তাদের মধ্যে পুলিশ শুধু শায়লাকে অভিযানের সময় গ্রেপ্তার করতে পারে। তার বাড়ি গাজীপুর সদর থানার বহরিচালা গ্রামে।

সোমবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গকুলনগর বাজার এলাকায় এক সৌদি আরব প্রবাসীর দুইতলা বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাটে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালায় পুলিশ।

তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউল বলেন, তানভীর ও জাকারিয়া পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর গ্রেপ্তার শারমিনকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

ঢাকার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সর্দার সোমবার সন্ধ্যা অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নিউ জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান তানভীর আহমেদ গকুলনগরের ওই বাসাটি ভাড়া নেন। অভিযানের সময় ওই বাড়িতে শুধু শায়লা ছিলেন। সে সময় তানভীরকে পাওয়া যায়নি।

“তানভীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের বর্তমান ছাত্র। তার সঙ্গে ফেইসবুকে পরিচিত হওয়ার পর সম্প্রতি তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রথম এই বাড়িটি ভাড়া নেন বলে শারমিন জানান।”

পুলিশ সুপার বলেন, বাড়িটি থেকে পেট্রোল বোমা, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নানা ধরনের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো দিয়ে দূর থেকে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো যেতে পারে। তবে তাদের কী পরিকল্পনা ছিল তা জানা যায়নি।

এই বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর যারা এখানে যাতায়াত করত তাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, বগুড়ার জেএমবির একটি মামলার সূত্র ধরে এখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের সদর দপ্তর থেকে তথ্য পেয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ এই অভিযানে নামে।

অভিযানে ঢাকা জেলা পুলিশের নেতৃত্বে ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশ এবং র‌্যাবও ছিল।

স্থানীয় পাথালিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লেহাজ উদ্দিন বলেন, দিন দশেক আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দুইজন দুইতলার পুরো বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়িটি দেখাশোনা করেন বাড়ির মালিকের ভায়রা ভাই শাহজাহান। তিনিই ভাড়া দেন।