মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার বিদ্যাগঞ্জ বাজারে বিদ্যাগঞ্জ রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, অগ্নিবীণা, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটারসহ প্রস্তাবিত নতুন ট্রেনগুলোর যাত্রা-বিরতির দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর সভাপতিত্বে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ, কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এসএম শামসুল হক কালু, কুষ্টিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম হাসান, অষ্টাধার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সরকারসহ আরো অনেকেই বক্তব্য দেন।
এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বাজার হচ্ছে বিদ্যাগঞ্জ। এ বাজারকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য। ব্যাংক, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। দূরদূরান্ত থেকে অংসখ্য লোকজন আসে বিদ্যাগঞ্জ বাজারে। তাই বিদ্যাগঞ্জ রেলস্টেশনে ট্রেন থামলে মানুষের ভোগান্তি কম হবে।
“আমরা অচিরেই আন্তঃনগর সব ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন থেকে বিদ্যাগঞ্জ রেলস্টেশন দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার।
“ময়মনসিংহে সব ধরনের আন্তঃনগর ট্রেন থামলেও বিদ্যাগঞ্জ রেলস্টেশনে কোন আন্তঃনগর ট্রেন থামে না। স্থানীয় লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবি সেখানে আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর জন্য।”
“আমরাও সেখানে আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করব।”