সোমবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার প্রেমবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে অভয়নগর থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান।
নিহতদের মধ্যে দুজন হলেন খুলনার খানজাহান আলী থানার রেলিগেট এলাকার সোহেল (২৭) ও সৈকত (৩০)। আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
আটক জনি শেখ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখাল গ্রামের ওহাব শেখের ছেলে।
জনি শেখ চুরিতে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন এবং নিহতদের মধ্যে দুইজনের নাম বলেছেন বলে জানান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
অভয়নগরের গাইদগাছি গ্রামের খোরশেদ আলম বলেন, সোমবার ভোর ৪টার দিকে একটি শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দরজা খুলে বাইরে এসে দেখেন চক দিয়ে দরজায় লেখা রয়েছে- ‘গোয়াল আপনার, গরু আমাদের’।
“সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রেমবাগ বাজারে থাকা আমার ভাগ্নেকে মোবাইল ফোনে চুরির বিষয়টি জানাই। এরপর গ্রামের মসজিদের মাইকে গরু চুরির কথা ঘোষণা করি।”
খোরশেদ বলেন, এরপর গ্রামবাসী চোরদের ধাওয়া দিলে তারা সঙ্গে আনা পিকআপ নিয়ে পালানোর সময় প্রেমবাগ রেল ক্রসিংয়ের কাছে আটক হয়। ওই পিকআপে তিনটি গরুও ছিল। এরপর পিকআপে থাকা চোরদের কয়েকজন পালিয়ে গেলেও তিনজন গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে। তাদের বেধড়ক পিটুনি দেয় গ্রামের মানুষ।
জনতা চোরদের আনা পিকআপটি ভাংচুরও করেছে বলে তৌহিদুল জানান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, সকালে ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকায় তল্লাশিকালে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া বাজার থেকে সন্দিগ্ধ একজনকে আটক করা হলে সে চুরির ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করে এবং নিহতদের মধ্যে দুইজনের নাম জানায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরও জানান, আটক জনি শেখের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলায় একটি ডাকাতির প্রস্তুতি এবং একটি চোরাই মালামাল উদ্ধারের মামলা আছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
উদ্ধার করা তিনটি গরু এবং চোরদের ব্যবহৃত একটি নম্বরবিহীন নীল রংয়ে টাটা পিক-আপ পুলিশ হেফাজতে আছে। হত্যার ঘটনায় অভয়নগর এবং চুরির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লাশ তিনটি যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে সয়নাতদন্তের জন্য।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, গত এক মাসে প্রেমবাগ, পুড়াটাল, বনগ্রাম, মাগুরা ও যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছী গ্রামের শতাধিক গরু চুরি হয়েছে। এই কারণে তারা রাতে দলবদ্ধভাবে পাহারার ব্যবস্থাও করেছেন।