রোববার সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান তার অস্থায়ী কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
গত শুক্রবার শ্যামনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামে খালপাড়ে মেয়েটির (২২) লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওইদিনই তার ভাই বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় মামলা করেছেন।
এসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ হত্যা মামলায় আটক সুব্রত মন্ডল (২৪) নিহত মেয়েটির প্রেমিক। সে পুলিশের কাছে মেয়েটিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
সুব্রত মন্ডল শ্যামনগরের কাচড়াহাটি গ্রামের পরিমল মন্ডলের ছেলে এবং একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বল্লভপুর গ্রামের খালপাড় থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে। তিনি শ্যামনগর মহসিন কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
“স্থানীয় এনজিও কর্মী সুব্রত মন্ডলের সঙ্গে এই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরে পুলিশ সুব্রতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুব্রত মেয়েটিকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা পুলিশের কাছে বর্ণনা করে। ”
“তাদের মধ্যে বেশ আগে থেকে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এই কারণে হত্যার কয়েকদিন আগে থেকে মরিয়ম তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন।
“সে কারণে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে মেয়েটিকে সে মোবাইলে ফোন করে ডেকে নেয় এবং খালপাড়ে প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে এবং পরে গলার ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।”
এসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই হত্যার ঘটনার পর থেকে পুলিশ প্রথমে তদন্তে সমস্যায় পড়ে মেয়েটির মায়ের সিম থেকে তার কাছে ফোন যাওয়ার কারণে। পরে প্রযুক্তির ব্যবহারে এবং সুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদে পুরো ঘটনা স্পষ্ট হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) জামিরুল ইসলাম, শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা, শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন আলম চৌধুরী।